Welcome
Individual & Income TAX lawer/professionals can fillup income TAX profile, forms and schedules from this site.
Instructions:
- Individual income TAX payee and Company income TAX payee can creata only their own profile.
- Lawers can create multiple profiles for both individual and company income TAX payee.
General Knowledge on Income TAX
-
আয়কর কি?
আয়কর হচ্ছে ব্যক্তি বা সত্ত্বার আয় বা লভ্যাংশরে উপর প্রদেয় কর । আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর আওতায় কর বলতে অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রদেয় আয়কর, অতিরিক্ত কর, বাড়তি লাভের কর, এতদসংক্রান্ত জরিমানা, সুদ বা আদায় যোগ্য অর্থকে বুঝায়। অন্য ভাবে বলা যায় যে, কর হচ্ছে রাষ্ট্রের সকল জনসাধারনের স্বার্থে রাষ্ট্রের ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারকে প্রদত্ত বাধ্যতামূলক অর্থ।
-
কোন ব্যক্তি আয়কর প্রদানের জন্য উপযুক্ত?
র্অথ আইন ২০১৫ এর আওতায় প্রত্যেক ব্যক্তি করদাতা (অনিবাসী বাংলাদেশী সহ), হিন্দু যৌথ পরিবার, অংশীদারী ফার্ম, ব্যক্তি সংঘ এবং আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তির আয়ের সীমা ৩,০০,০০০/= টাকার উপরে হলে আয়কর প্রদানের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। তবে,
(১) মহিলা এবং ৬৫ বৎসর বা তদুর্ধ বয়সের ব্যক্তি করদাতা আয় ৩,৫০,০০০/= টাকা এর উপরে হলে তিনি আয়কর প্রদানের উপযুক্ত হবনে।
(২) প্রতিবন্ধি করদাতা আয় ৪,৫০,০০০/= টাকা এর উপরে হলে তিনি আয়কর প্রদানের উপযুক্ত হবেন।
(৩) গেজেট ভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় সীমা ৪,৭৫,০০০/= টাকা এর উপরে হলে তিনি আয়কর প্রদানের উপযুক্ত হবেন।
(৪) কোন প্রতিবন্ধী ব্যাক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের ক্ষেত্রে এরূপ প্রত্যেক সন্তান/পোষ্যের জন্য করমুক্ত সীমা ৫০,০০০/= টাকা বেশী। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যে কোন একজন এ সুবিধা পাবেন। -
আয়করের জন্য আয়ের খাত কি কি?
আয়কর অধ্যাদশে ১৯৮৪ অনুযায়ী আয়ের খাত সমূহ নম্নিরূপ:
১। বেতনাদি
২। নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ
৩। গৃহ সম্পত্তির আয়
৪। কৃষি আয়
৫। ব্যবসা বা পেশার আয়
৬। মূলধনী মুনাফা
৭। অন্যান্য উৎস হতে আয়। তবে রিটার্ন জমা দেয়ার সময় নিম্নলিখিত আয়ের খাতগুলি সম্পৃক্ত হবে।
৮। ফার্মের আয়ের অংশ
৯। স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের আয় -
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর আওতায় কি কি ধরণের কর আরোপ করা হয়?
আয়কর অত্যাদেশ ১৯৮৪ এর আওতার দুই ধরনরে কর আরোপ করা হয়-
১) ব্যক্তিগত আয়কর
২) কর্পোরেট আয়কর -
ন্যূনতম কর কি?
করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে করদাতাকে এলাকা ভেদে ন্যূনতম যে কর পরিশোধ করতে হয় তাকে ন্যূনতম কর বলে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বৎসর মোতাবেক ন্যূনতম করের পরিমান যথাক্রমে, ঢাকা ও চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য ৳৫০০০.০০ টাকা, অন্য সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য ৳৪০০০.০০ টাকা, সিটি কর্পোরেশন এর বাইরে অন্য যেকোনো এলাকার জন্য ৳৩০০০.০০ টাকা।
-
আয়কর প্রদানের জন্য কোন বয়স সীমা আছে কি?
অর্থ আইন ২০১৫ এর আওতায় প্রত্যেক ব্যক্তি করদাতা উল্লেখ থাকলেও করদাতার সুনির্দিষ্ট বয়সসীমা উল্লেখ নেই। তবে মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তি, প্রতিবন্ধীদের এবং গেজেট ভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তি যোদ্ধাদের কর মুক্তির সীমা ভিন্ন ভাবে উল্লেখ রয়েছে। তাই বাৎসরিক করযোগ্য আয় করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে উক্ত আয়ের উপর কর প্রযোজ্য, সে ক্ষেত্রে বয়স বিবেচ্চ্য নয়।
-
আয়কর নিবন্ধন কি?
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর আওতায় ন্যূনতম করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে কিংবা ধারা 75(1A) তে বর্ণিত তালিকার ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক না, রিটার্ন দাখিলের জন্য একজন করদাতাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অন্তর্গত কোন আয়কর কমিশনারেটের অধীনে সার্কেলে থেকে ১২ ডিজিটের TIN গ্রহণ করে নবিন্ধতি হতে হয় । একেই আয়কর নিবন্ধন বলে।
-
আয়করের জন্য নিবন্ধন প্রয়োজন কেন?
একজন করদাতাকে নিবন্ধনের মাধ্যমে করদাতা হিসাবে সনাক্ত করা হয়। ব্যক্তি করদাতা (অনিবাসী বাংলাদেশী সহ), হিন্দু যৌথ পরিবার, অংশীদারী ফার্ম, ব্যক্তি সংঘ এবং আয়কর আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তির করযোগ্য আয় কর মুক্ত আয়ের সীমার উপরে হলে নিবন্ধন প্রয়োজন। নিবন্ধিত করদাতা বছর শেষে রিটার্ন জমা দেওয়ার মাধ্যমে বাৎসরকি আয়, ব্যয় ও সঞ্চয় র্বণনা করেন।
নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে আয়কর নিবন্ধন প্রয়োজন:- আমদানীর উদ্দেশ্যে ঋণপত্র খোলার সময়;
- আমদানী রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট পাওয়ার উদ্দেশ্যে আবেদননের সময়;
- করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করার সময়;
- চুক্তি কার্যকর, পণ্য সরবরাহ বা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়;
- কোম্পানী আইন, ১৯৯৪-এর আওতায় নিবন্ধনকৃত কোন ক্লাবের সদস্য হবার জন্য আবেদন দাখিল করার সময়;
- সাধারণ বীমার সার্ভেয়ার হিসেবে তালিকাভূক্তি বা লাইসেন্স প্রাপ্তি বা নবায়নের সময়;
- কোন সিটি কর্পোরেশন বা জেলা সদরের কোন পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত ভূমি, ভবন বা এপার্টমেন্টর চুক্তি মূল্য যদি এক লক্ষ টাকার উর্ধ্বে হয়, সেই ক্ষেত্রে ঐ ভূমি, ভবন বা ফ্লাট ক্রয়ের রেজিস্ট্রেশনের সময়।
- সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে অবস্থিত কোন ভূমি, ভবন বা কোন এপার্টমেন্টর ক্রেতা বাংলাদেশের অনিবাসী বাংলাদেশী হইলে তার ক্রয়ের রেজিষ্ট্রেশনের সময় (f) এর বিধান কার্যকর হইবে না;
- কার, জিপ বা মাইক্রোবাসের মালিকানা পরিবর্তন কিংবা ফিটনেস রেজিষ্ট্রেশন নবায়নের সময়;
- কোন বানিজ্যিক ব্যাংক বা লিজিং কোম্পানী কর্তৃক কোন ব্যক্তিকে ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার অধিক ঋণ বরাদ্দ দানকালে;
- ক্রেডিট কার্ড ইস্যুর সময়;
- ডাক্তার, চার্টার্ড একাউনন্ট্যান্ট, কষ্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউনন্ট্যান্ট, আইনজীবি বা আয়কর পেশাজীবির পেশাদারী লাইসেন্স অনুমোদনের সময়;
- কোন কোম্পানীর ডাইরেক্টর বা কোন কোম্পানীর স্পসর শেয়ার হোল্ডার হওয়ার সময়;
- বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন অনিবাসীর ক্ষেত্রে (k) এর বিধান কার্যকর হইবে না;
- মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪ এর আওতায় নিকাহ রেজিষ্ট্রোরের লাইসেন্স প্রদানের সময়। তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তি ইতোমধ্যে নিকাহ রেজিষ্ট্রার হিসেবে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়েছে, তার ক্ষেত্রে অত্র বিধান কার্যকর হওয়ার তিন মাসের মধ্যে টি, আই.এন সনদ সংগ্রহ করিতে হইবে;
- কোন বানিজ্য সংস্থার মেম্বারশিপ নবায়নে বা মেম্বারশিপ আবেদনকালে;
- গৃহসম্পত্তি নির্মাণের নিমিত্ত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চিটাগাং ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সিডিএ), খুলনা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেডিও) এবং রাজশাহী ডেভেলপমেন্ট অথরিটি(আরডিএ) হতে অনুমোদন পাওয়ার উদ্দেশ্যে প্লান জমা প্রদানের সময়;
- ড্রাগ লাইসেন্স ইস্যু করণের সময়;
- সিটি কর্পোরেশন, পৌর সভা বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার মধ্যে বানিজ্যিক ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগের আবেদনের সময়;
- সিটি কর্পোরেশন, পৌর সভা বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার মধ্যে বানিজ্যিক ভিত্তিত বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনের সময়;
- ভাড়ায় চালিত বাস, ট্রাক, প্রাইমমোভারস, লরী ইত্যাদি রেজিষ্ট্রেসনে, মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস নবায়নের সময় এবং প্লেইং ফর হায়ারের সময়;
- ভাড়ায় চালিত ওয়াটার ভ্যাসেলসহ লঞ্চ, ষ্টীমার, ফিসিং ট্রলার, কার্গো, কোস্টার, ডাম্প-বার্জ ইত্যাদির সার্টিফিকেট প্রদান বা নবায়নের সময়,
- ইন্সুরেন্স কোম্পানীর এজেন্ট হিসেবে সার্টিফিকেট রেজিষ্টেশন বা নবায়ন করার সময়;
- জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কর্তৃক বা পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ইট প্রস্তুতের অনুমতি প্রদান বা অনুমতি নবায়নের সময়;
- উপজেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোয়য়নপত্র জমা দেয়ার সময়;
- কোন সিটি কর্পোরেমন বা জেলা সদরের কোন পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কারিকুলাম অনুযায়ীর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ছাত্র ভর্তির সময় পিতা/মাতা বা অভিবাবক হওয়ার কারণে।
-
ই-টিআইএন কি?
ই-টিআইএন মানে ইলেকট্রনকি ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নাম্বার, ইহা আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করন। ইহা ১২ ডিজিটের ১টি নম্বর। একজন করদাতাকে সহজে, ঘরেবসে অনলাইনে নিবন্ধন পেতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। www. incometax.gov.bd এই সাইট গেলে ই-টিআইএন নিবন্ধন নেওয়া যাবে।
-
ই-টিআইএন এর জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
আপনি ই-টিআইএন এর জন্য www. incometax.gov.bd এই সাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন এবং নিবন্ধন নিতে পাবেন।
-
ই-টিআইএন প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কি লাগে?
ধরনের উপর নির্ভর করবে টিআইএন সার্টিফিকেট পেতে কি কি তথ্য লাগবে নিম্নে ছক আকারে দেওয়া হলোঃ
Individual প্রাপ্ত বয়স্ক: করদাতার নাম, বৈধ্য জাতীয় পরিচয়পত্র, নম্বর, জন্ম তারিখ (জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী)
Individual অপ্রাপ্ত বয়স্ক: করদাতার নাম, অভিবাবকের নাম, অভিবাবকের টিআইএন, করদাতার ছবি( সফট কপি পাসপোর্ট সাইজের)
বিদেশী, বাংলাদেশি without NID: পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ, ভিসা নম্বর, ভিসা ইস্যুর তারিখ, কর দাতার ছবি (সফট কপি, পাসপোর্ট সাইজ)
কোম্পনির নাম (নিবন্ধন অনুযায়ী) নিবন্ধন নম্বর ও তারিখ।
ফার্মে (Registered): ফার্মের নাম (নিবন্ধন অনুযায়ী), নিবন্ধন নম্বর ও তারিখ।
ফার্মে (Unregistered): ফার্মের পার্টনারদের টিআইএন নম্বর এবং তাদের নাম।
Other (AOP, HUF local Authority, AJP: Authorized person / কর্তা ব্যক্তির টিআইএন নম্বর
-
টিআইএন সনদ কি?
একজন করদাতা কর প্রদানের উদ্দেশ্যে কোন সার্কেলে আবেদন করিলে সংশ্লিষ্ট সার্কেল থেকে উপকর কমিশনার কর্তিক করদাতা সনাক্ত করতে যে সনদ প্রদান করা হয় তাকে টিআইএন সনদ বলে।
-
আয়কর সনদ কি?
করদাতা পূর্ববর্তী কর বর্ষের আয়কর রিটার্ন জমাদিলে কর সার্কেল কর্তিক যাচাই বাছাই ও মূল্যায়ন শেষে করদাতাকে সংশ্লিষ্ট সার্কেলের উপকর কমিশনার কর্তিক যে সনদ প্রদান করা হয় তাকে আয়কর সনদ বলে।
-
ব্যক্তিগত আয়করের জন্য কর হারের কাঠামো কি?২০২০-২০২১ কর বছরের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তি করদাতা (অনিবাসী বাংলাদেশী সহ), হিন্দু যৌথ পরিবার, অংশীদারী ফার্ম, ব্যক্তি সংঘ এবং আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তির আয়ের সীমা ৩,০০,০০০/= টাকার উপরে হলে আয়কর প্রদানের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। তবে,
(১) মহিলা এবং ৬৫ বৎসর বা তদুর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিদের আয়ের সীমা ৩,৫০,০০০/= টাকা এর উপরে হলে তিনি আয়কর প্রদানের উপযুক্ত হবেন।
(২) প্রতিবন্ধি করদাতাদের আয়ের সীমা ৪,৫০,০০০/= টাকা এর উপরে হলে তিনি আয়কর প্রদানের উপযুক্ত হবেন।
(৩) গেজেট ভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তি যোদ্ধাদের আয়ের সীমা ৪,৭৫,০০০/= টাকা উপরে হলে তিনি আয়কর প্রদানের উপযুক্ত হবেন।
২০২০-২০২১ কর বছরের জন্য এরূপ করদাতাদের আয়ের উপর প্রযোজ্য কর হার নিম্নরূপে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছেঃ-
মোট আয়
কর হার
(ক)
প্রথম ৩,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর
শূণ্য
(খ)
পরবর্তী ১,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর
৫%
(গ)
পরবর্তী ৩,০০,০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর
১০%
(ঘ)
পরবর্তী ৪,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর
১৫%
(ঙ)
পরবর্তী ৫,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর
২০%
(চ)
অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর
২৫%
-
কোম্পানি আয়করের জন্য কর হারের কাঠামো কি?
২০২০-২০২১ কর বছরের জন্য কোম্পানীর আয়করের হার (লভ্যাংশ আয় ও মূলধনী আয় ব্যতীত) নিম্নরূপঃ
কোম্পানীর ধরণ
কর হার
(অ)
নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী (স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভূক্ত নয় এমন কোম্পানী)
৩২.৫%
(আ)
পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী (স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভূক্ত কোম্পানী)
২৫%
(ই)
ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ (মার্চেন্ট ব্যাংক ব্যতীত)
(i)পুজিঁবাজারের তালিকাভূক্ত হলে
(ii)পুজিঁবাজারের তালিকাভূক্ত না হলে
(iii)সরকার কর্তৃক ২০১৩ সালে অনুমোদিত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করের হার
৪০%
৪২.৫%
৪০%
(ঈ)
মার্চেন্ট ব্যাংক
৩৭.৫%
(উ)
সিগারেট প্রস্তুতকারক কোম্পানী
৪৫%
(ঊ)
মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানী
৪৫%
অন্যান্য কর হারঃ
(অ)
কোন কোম্পানী কর্তৃক প্রাপ্ত লভ্যাংশ আয়ের ক্ষেত্রে/বিদেশী কোম্পানীর মুনাফা প্রত্যাবাসন, যা লভ্যাংশ হিসেবে গণ্য, এর উপর
২০%
(আ)
কোম্পানী ব্যতীত সিগারেট প্রস্তুতকারক অন্যান্য শ্রেণীর করদাতার সিগারেট উৎপাদন পূর্বক বিক্রয় ব্যবসার আয়ের উপর
৪৫%
(ই)
সমবায় সমিতির আয়ের উপর
১৫%
-
করবর্ষ কি?
সাধারণতঃ আয় বর্ষের পরবর্তী বর্ষকে কর বর্ষ বলা হয়। যেমন, ১লা জুলাই ২০১৯ হতে ৩০ শে জুন ২০২০ সময়কাল পর্যন্ত উপার্জিত আয়ের আয়বর্ষ হইবে ২০১৯-২০২০ এবং করবর্ষ হইবে পরবর্তী বর্ষ অর্থাৎ ২০২০-২০২১ ।
-
রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি গুলি কি?
বর্তমানে আয়কর রির্টান দাখিলের দুটি পদ্ধতি প্রচলিত আছে, যথা-
(১) সাধারণ পদ্ধতি এবং
(২) সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি।
-
সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি কি?
করদাতা তার নিজের আয় নিজে নিরূপন করে প্রযোজ্য আয়কর পরিশোধ করবেন - এটি বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে করদাতা রিটার্ন দাখিলকরনে বিনা প্রশ্নে আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রিটার্নটি গৃহীত হয়। রিটার্ন দাখিলের পর উপ কর কমিশনার বা তার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক করদাতাকে প্রদত্ত প্রাপ্তি স্বীকারপত্র কর নির্ধারণী আদেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। করদাতা রিটার্ন ফরম পূরণ পর্যায়ে রিটার্নের প্রথম পৃষ্ঠায় সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির ঘরে টিক প্রদান করলে কিংবা রিটার্নের উপরে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি উল্লেখ করলে দাখিলকৃত রিটার্নটি সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে আওতায় গৃহীত হবে।
-
কোথায় আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়?
প্রত্যেক শ্রেণীর করদাতার রির্টান দাখিলের জন্য আয়কর সার্কেল নির্দিষ্ট করা আছে। যেমন : A, B এবং C অক্ষরগুলো দিয়ে ঢাকা সিভিল জেলার অবস্থিত যে সকল বেসামরিক সরকার কর্মকতা/কর্মচারী ও পেনশনভুক্ত কর্মকর্তা/ কর্মচারীর নাম শুরু হয়েছে তাদেরকে কর অঞ্চল-৪, ঢাকা এর কর সার্কেল-৭১ এ রিটার্ন জমা দিতে হবে। পুরোনো করদাতারা তাদের বর্তমান সার্কেলে রিটার্ন জমা দেবেন। নতুন করদাতারা তাদের নাম, চাকুরীস্থল বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার ভিত্তিতে নির্ধারিত সার্কেলে ১২ সংখ্যার টিআইএন (e-TIN) উল্লেখ করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন। করদাতারা প্রয়োজনে কাছাকাছি আয়কর অফিস বা কর পরামর্শ কেন্দ্র থেকে আয়কর রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সার্কেল অফিস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
-
কোন সময়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়?
কোম্পানী ব্যতীত অন্যান্য সকল শ্রেণীর করদাতার ক্ষেত্রে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর এই ৩ মাস সময়সীমার মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্বব না হলে একজন করদাতা রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করে উপ কর কমিশনারের কাছে সময়ের আবেদন করতে পারেন। সময় মঞ্জুর হলে বর্ধিত সময়ের মধ্যে সাধারণ অথবা সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির আওতায় রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব।
-
কীভাবে আয়কর রিটার্ন জমা করতে হবে?
- কোন আয়কর অফিস বা www.nbr.gov.bd এই ওয়েব সাইট থেকে রিটার্ন ফর্ম সংগ্রহ করে করদাতা কর্তৃক পুরন করতে হবে। নতুন করদাতা হলে পাসপোর্ট সাইজের এক কপি সত্যায়িত ছবি রিটার্নের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। বর্তমানে আয়কর রির্টান দাখিলের দুটি পদ্ধতি প্রচলিত আছে, যথা-
(১) সাধারণ পদ্ধতি এবং
(২) সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি।
সাধারণ পদ্ধতি
রিটার্নে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি উল্লেখ করা না হলে রিটার্নটি সাধারণ পদ্ধতির আওতায় দাখিলকৃত বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে রিটার্নে প্রদর্শিত আয়ের সমর্থনে যথোপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণাদি না থাকলে করদাতার শুনানী গ্রহণপূর্বক মামলা নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে।
সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি
করদাতা তার নিজের আয় নিজে নিরূপন করে প্রযোজ্য আয়কর পরিশোধ করবেন। এই পদ্ধতিতে করদাতা রিটার্ন ফরম পূরণ পর্যায়ে রিটার্নের প্রথম পৃষ্ঠায় সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির ঘরে টিক প্রদান করলে কিংবা রিটার্নের উপরে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি উল্লেখ করলে দাখিলকৃত রিটার্নটি সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে আওতায় গৃহীত হবে। এই পদ্ধতিতে করদাতার রিটার্ন দাখিল করলে বিনা প্রশ্নে আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রিটার্নটি গৃহীত হয়। রিটার্ন দাখিলের পর উপ কর কমিশনার বা তার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক করদাতাকে প্রদত্ত প্রাপ্তি স্বীকারপত্র কর নির্ধারণী আদেশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
রিটার্ন দাখিলের জন্য সময় প্রার্থনা কিভাবে করতে হয়?
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 75 (2)(c) আইনানুগ সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই যথাযথ কারণ উল্লেখ পূর্বক সময়ের আবেদন করা হলে করদাতার সংশ্লিষ্ট সার্কেলে উপকর কমিশনার নিজ ক্ষমতাবলে ২(দুই) মাস এবং পরিদর্শী অতিরিক্ত/যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে আরও ২(দুই) মাস অর্থাৎ মাস অর্থাৎ সর্বমোট ৪ (চার) মাস পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
-
আয়কর রিটার্ন জমা না দেয়ার শাস্তি কি?
করদাতাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে আবশ্যিকভাবে ধারা-১৩০ মোতাবেক নোটিশ প্রদান সাপেক্ষে খেলাপী করদাতার সর্বশেষ আরোপিত আয়করের ১০% অথবা কমপক্ষে ১,০০০.০০ টাকা ও পরবর্তী প্রতি খেলাপী দিবসের জন্য ৫০.০০ টাকা, উপ-কর কমিশনার জরিমানা আরোপ করতে পারবেন। তবে অর্থ আইন ২০১৫ এর মাধ্যমে সংযোজিত প্রভাইসো মোতাবেক -
(১)কোন ব্যক্তি-করদাতা, যাহার আয়ের উপর ইতোপূর্বে কখনো করারোপিত হয় নাই, তাঁহার ক্ষেত্রে আরোপযোগ্য মোট জরিমানা পরিমান ৫,০০০/- টকার বেশি হইবে না;
(২)কোন ব্যক্তি-করদাতা, যাহার আয়ের উপর ইতোপূর্বে করারোপিত হইয়াছে এমন কোন পুরোনো ব্যক্তি-করদাতার ক্ষেত্রে এইরূপ জরিমানার পরিমাণ তাঁহার সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর ধার্যকৃত করের ৫০% বা ১,০০০/- টাকা, দু’টির মধ্যে যেটি বেশি, তাহার বেশি হইবে না|